ছবি: সংগৃহীত
সংবিধানে বহুত্ববাদ চায় না বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফী।
সোমবার, ২১ এপ্রিল সংসদ ভবনের এলডি হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা ইউসুফ আশরাফী বলেন, ‘যে বিষয়গুলোতে আমরা দ্বিমত জানিয়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংবিধানের যে মূলনীতি ওখানে একটা শব্দ আছে বহুত্ববাদ, আমরা এই বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি।’
এ সময় পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন থেকে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ চব্বিশের অভ্যুত্থান পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, মানুষ যেন কথা বলতে পারে, গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘মানুষ যেন কথা বলতে পারেন। মানুষ যেন তাদের জীবনাচারণের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হন, গুমের স্বীকার না হন, বিচার বহির্ভূত হত্যার স্বীকার না হন এবং অন্যায়ভাবে নির্যাতিত না হন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।’
কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ১১টি সংস্কার কমিশন নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
১১টি সংস্কার কমিশনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদ যাতে মাথাচাড়া না দেয় এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা বলেও জানান তিনি।