জুলাই ৮, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি বেলা একটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে তাঁদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাতে পাবনা থেকে দলটি কুষ্টিয়ায় আসে। আজ দুপুরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা রায়ডাঙ্গায় আসেন। কবর জিয়ারতে অংশ নেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। পরে তারা আবরার ফাহাদের বাবা–মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
কবর জিয়ারতের পর নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে তার হলে সারা রাত নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সংগঠন ছাত্রলীগ। তার অপরাধ ছিল, তিনি দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ফেনীর নদীর পানি নিয়ে চুক্তি করেছিল, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছিল। সে সময় আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম।’
আবরার ফাহাদের মৃত্যু ও মৃত্যুর প্রতিবাদে যে আন্দোলন, সে আন্দোলন বাংলাদেশের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘“দিল্লি না ঢাকা” এ স্লোগান উঠে এসেছিল সেই আন্দোলন থেকে। আবরার ফাহাদ যে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বাংলাদেশপন্থী পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন, সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। আবরার থেকে আবু সাইদ—সব শহীদকে শ্রদ্ধা করি।’
এনসিপির নেতাদের কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে থানা মোড়, ছয় রাস্তার মোড় ও পাঁচ রাস্তার মোড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে পথসভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।