নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৮:০৩ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে বিএনপির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রদল বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পোস্টার সাঁটানোর প্রতিবাদে বুধবার গভীর রাতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার গভীর রাতে এই বিক্ষোভ থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিজয় একাত্তর হলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন আবাসিক হল ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় এবং রাত ১ টার দিকে চলে যায়।
এ সময় তারা ‘টু জিরো টু ফোর, ছাত্ররাজনীতি নো মোর’, ‘দেয়ালে পোস্টার লাগালে, দুঃখ আছে কপালে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’—ইত্যাদি স্লোগান দেন।
হলচত্বরে মিছিল-স্লোগান চলাকালে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম আলী রেজা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন শিক্ষার্থীদের অবস্থা তিনি বুঝতে পেরেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিতে বলেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে যাবেন বলেও জানান।
আনুমানিক ১১ টা বাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বিজয় একাত্তর হলে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন তারা এখনো ছাত্ররাজনীতির জন্য `চূড়ান্ত কাঠামো` দাঁড় করাতে পারেননি।
৭ নভেম্বর ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ সামনে রেখে অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিসহ পোস্টার সাঁটায় ছাত্রদল।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা হয়। পরে রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী বলেন, সিন্ডিকেট সাময়িকভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিকে সমর্থন করে না। তারপরও কিভাবে কোনো রাজনৈতিক দল হলে পোস্টার সাঁটাতে পারে?
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরাও রাতে ছাত্রদলের পোস্টার সাঁটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।
রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দেয়ালে বা আশপাশে যেকোনও ধরনের পোস্টার লাগানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হল প্রশাসন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হলের সার্বিক সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য হলের অভ্যন্তরে বা হলচত্বরের দেয়ালে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত কোনও প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো ও দেয়াললিখন করা যাবে না।
কেউ এই আদেশ অমান্য করলে হল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।