এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
‘রাজাকাররা’ এখন ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
সাড়ে সাত মাস ধরে কারাবন্দি সাবেক এই মন্ত্রীকে সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার সময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজ টয়েন্টিফোর ডটকম।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে টানা আটবারের এমপি শাজাহান বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”
এদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চানখারপুলে ব্যবসায়ী মনির হত্যা মামলায় শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি ছিল। সকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। পরে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
এরপর শুনানি শেষে ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শাজাহানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান। গত ১৩ এপ্রিল এ আবেদন করেছিলেন শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক।
বিচারকের আদেশের পর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা কিছু বলো না; শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।”
এসময় আবারও তিনি বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে, তাই বলেছি।”
তাদের সঙ্গে ‘অবিচার’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করে শাজাহান খান।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৫ সেপ্টেম্বর গভীররাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
একই আসন থেকে পরে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।