জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
টেকনোক্রেট শব্দের আক্ষরিক অর্থ প্রযুক্তিবিদতন্ত্রের সমর্থক। এই রাষ্ট্রের বিশেষ প্রয়োজনে ভোটের মাধ্যমে জয়ী হওয়া ব্যক্তিদের পরিবর্তে বা রাজনীতির সাথে যুক্ত না থাকা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের তাদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রিত্ব প্রদান করা হয়।
নতুন সরকার গঠনের পর সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১০ ভাগ হন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী। এই ১০ ভাগ মন্ত্রীর ১ ভাগ টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন সরকার প্রধান।
তাই’ই হয়েছে বাংলাদেশে। এই ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য নয় কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন এমন যে কাউকে প্রধানমন্ত্রী এই কোটায় মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করতে পারেন।
আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন, কোন নির্বাচন না করে, বিজয়ী না হয়ে কীভাবে ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন মন্ত্রী হয়েছেন।
সরকার ব্যবস্থার বিশেষ প্রয়োজনে, ক্ষেত্রভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে তাদের এই নিয়োগ। যাতে তারা, তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে, সরকারকে সাফল্যমণ্ডিত করে।
আলেক্সেই কুদরিন ছিলেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক। ২০০০ সালে যখন রাশিয়ার অর্থনীতির করুণ দশা, তখন তাঁকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই লোক শুধু রাশিয়াকে গভীর সঙ্কট থেকেই উদ্ধার করেননি, বরং রাশিয়ার বর্তমান রিজার্ভ গড়ে ওঠার ভিত্তি তাঁর হাতে গড়া।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে নতুন মন্ত্রিপরিষদে শপথ নিয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই আছেন। আর ডা. সামন্ত লাল সেন পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
পূর্বের মন্ত্রিসভার টেকনোক্রেট মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। তারা হলেন ইয়াফেস ওসমান ও মোস্তফা জব্বার।