ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান বাতিল করে রায় ঘোষণা করেছেন হাই কোর্ট। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং গণভোট ফেরার পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭ এর ক ও খ অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় দেন।
এদিন বহুল আলাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রুলের বিষয়ে রায় দেন আদালত।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরছে কিনা জানা যাবে আজ
এর আগে ১১টার দিকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রিট আবেদনের ওপর রায় পড়তে শুরু করেন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
গত ০৫ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার দিন হিসাবে ১৭ ডিসেম্বরকে ধার্য করেছিলেন।
গত ০৪ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি হয় এবং সেই রিটে পক্ষভুক্ত হয় বিএনপি, জামায়াত, গণফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।