যুবলীগ চেয়ারম্যান

‘৭৫’র পর বাংলাদেশ যে ধারায় চলতে শুরু করেছিল, তাতে এই রাষ্ট্র এতদিন থাকতো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম

‘৭৫’র পর বাংলাদেশ যে ধারায় চলতে শুরু করেছিল, তাতে এই রাষ্ট্র এতদিন থাকতো না’

যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

‘৭৫’র পর বাংলাদেশ যে ধারায় চলতে শুরু করেছিল, তাতে এই রাষ্ট্র এতোদিন থাকতো না। থাকলেও ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মতো পরিস্থিতি হতো বাংলাদেশের বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ বলেন, ‘এমনটি হয়নি বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে  আর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর কারিগর হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কৌশল হলো-বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সেরকম আধুনিক উন্নত এবং স্বনির্ভর করাই শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, আর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির নেতা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বদলে গেছে। তার নেতৃত্বেই বিশ্বে আজ বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে। এ কথা বললে ভুল হবে না যে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আর শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন, যা তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে দেখে আসছিলেন, তা সমন্বিত আকারে তিনি বলেছেন ৭ই মার্চের ভাষণে। বিভ্রান্ত বাঙালি জাতি সেদিন পেয়েছিল পথের দিশা। তার বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিলো: ‘এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ ভাষণে বাঙালির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়েছে। জনগণের গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তি এবং স্বাধীনতার স্বপ্নের প্রকাশ এ ভাষণ। তাই আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অস্তিত্ব আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন এক সূত্রে গাঁথা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আজকে যুবলীগের যে কার্যক্রম মানবিক উদ্যোগ এ কথাই মনে করিয়ে দেয় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো তারা সবাই এ বাংলার গরিব-দুঃখি মানুষের পাশে। সবসময় আছে। তারা যে কোনো দুর্যোগ-দুঃসময়ে মানুষের পাশে এসে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার সময় যখন মানুষ ঘর থেকে বের হয় নাই, মানুষের ধান কাটার জন্য লোক পাচ্ছে না তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগ করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। তখন যদি এই মানবিক কাজগুলো আমাদের আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো না করতো তাহলে মানুষগুলো সমস্যায় পড়ে যেতো। বঙ্গবন্ধুর যে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশের যে চিন্তা কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব উপজেলায় ২১ হাজার মানুষ শেখ হাসিনার মানবিক সুবিধা পায়। আমাদের সেগুলোও প্রচার করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো এদেশে। একটি অপশক্তি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে মিলে দেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার জন্য ৭ জানুয়ারির সাংবিধানিক নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এই নির্বাচন বানচাল হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যাহত হতো, অগণতান্ত্রিক অপশক্তির উত্থান ঘটতো; বাংলাদেশের আজকের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতো। পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-শিশুসহ কোনো নিরাপত্তা সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, শান্তি থাকে না, শৃঙ্খলা থাকে না তখন সে দেশে, সে সমাজে মানুষের ওপর জুলুম নেমে আসে। সেই ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি অপচেষ্টা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে নির্বাচন বাঞ্চাল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছে। যারা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিরোধী শক্তি তাদেরকে রুখে দিতে হবে। দরিদ্র রোজাদারদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য তিনি যুবলীগকে ধন্যবাদ জানান।’

Link copied!