এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সিলেট নগরীর মাছিমপুর-মেন্দিবাগ এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলা ও পাল্টা হামলায় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে বিএনপি নেতা আজিজসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার মধ্যরাতের ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটি যান বিএনপি নেতারা। উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক। খবর সমকাল।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই এলাকায় আড্ডা দিতেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর সিলেট ল’ কলেজের পাশের ওই এলাকায় আড্ডা দিতে শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব ও বিএনপি নেতা আজিজুল হোসেন আজিজসহ কয়েকজন নেতাকর্মী ওই এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। গাড়ি পার্কিং নিয়ে মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অপুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় আজিজকে মারধর করা হয়।
এর প্রতিবাদে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতার বাসায় (সাবেক কাউন্সিলর শারমিন আক্তার সুমির বাসা) মিছিল নিয়ে হামলা করে। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল ফেলে পিছু হঠেন বিএনপির কর্মীরা। পরে মোটরসাইকেলগুলো ভাঙচুর করা হয়। আহত অবস্থায় আজিজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীতে খুঁজতে থাকেন। উত্তেজনা দেখা দিলে রাত একটার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল ট্রাকে করে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা আজিজের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম জানান, চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।