দীর্ঘদিন ধরে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
সোমবার (১১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এই আশঙ্কার কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। আপনি যেমনটা জানেন, প্রফেসর ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ভাবনা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই প্রশ্নের মন্তব্যের বিষয়ে সচেতন। এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে (এর আগে) কথা বলতে শুনেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও আমরা সচেতন। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অজ্ঞাত নয়।’
ওই সাংবাদিকের আরেকটি প্রশ্ন ছিল, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ অঞ্চলে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা বৃহত্তর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী ভারতে তৈরি পণ্য বর্জনকে উৎসাহিত করছে জনগণ। তাদের সন্দেহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুখপাত্র বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কেও আমরা অজ্ঞাত নই। তবে ভোক্তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা ভারত-বাংলাদেশ উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ককে মূল্যায়ন করি। অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই আমরা কাজ করবো।’