শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

ডেস্ক রিপোর্ট

জুন ২৭, ২০২১, ১২:১৭ এএম

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

আজ ২৬ জুন, শহীদ জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মৃত্যুবরণ করেন।

কথা সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোরনের নেত্রী জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শাফী ইমাম রুমী কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানী সেনাদের হাতে ধরা পড়েন এবং শহীদ হন। স্বাধীনতার পর  রুমীর বন্ধুরা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ  হওয়ার সূত্রেই তিনি শহীদ জননীর মযার্দায় ভূষিত হন৷

১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে পরের বছর কলকাতা লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের) থেকে  বি এ পাস করেন।  ১৯৬০ সালে বিএড  ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।  ১৯৬৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে বাংলায় এম এ পাস করেন।

১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী গোলাম আযমকে দলের আমীর ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে জাহানারােইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়।  পরে ১৯৯২ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। তিনি এই কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন।

এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ গণ আদালতের মাধ্যমে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার শুরু করে। গণআদালাতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দশটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদন্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদকসহ কয়েক ডজন পুরষ্কারে ভূষিত হন।

Link copied!