কেমন হবে ভবিষ্যতে ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০২:০৫ পিএম

কেমন হবে ভবিষ্যতে ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার আগ্রহীদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, বর্তমান জীবনযাত্রার অভ্যাস ঠিক না রাখলে ২০৫০ সালের ইনফ্লুয়েন্সারদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এ বিষয়ে একটি চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এভা

চিত্রটি দেখলে যেকোনো মানুষ আতঙ্কিত হবে। এভার দেহের গঠন, মুখের বৈশিষ্ট্য, চোখ-মুখসবই অসুস্থতার প্রতিচ্ছবি। ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ, পাতলা চুল, চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলা ভাব এবং অস্বাভাবিক দেহভঙ্গিসব মিলিয়ে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।

গবেষণা অনুযায়ী, দিনের পর দিন স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে অনেকেই ‘টেক্সট নেক সিনড্রোম-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে ঘাড় বাঁকা হয়ে যায়, কাঁধ ঝুলে পড়ে এবং মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে, যা একসময় স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ইন্টারডিসিপ্লিনারি নিউরোসার্জারি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে মেরুদণ্ড ১৫ থেকে ৬০ ডিগ্রি কোণে বাঁকা হয়ে যেতে পারে।

এভার ত্বকে দেখা ছোপ ছোপ দাগ ‘কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস-এর লক্ষণ। নিয়মিত প্রসাধনী ব্যবহার ও বারবার স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট পরিবর্তনের ফলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলা ভাব এসেছে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা ডিজিটাল আই স্ট্রেইন থেকে। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকানো, ভিডিও এডিটিং ও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কারণে চোখে লালচে ভাব, শুষ্কতা, ঝাপসা দেখা, দাগ ও ফোলা ভাব দেখা দেয়।

এছাড়া, ইনফ্লুয়েন্সাররা মধ্যরাত পর্যন্ত ভিডিও এডিটিং, বিভিন্ন দেশের বিনামূল্যের ভ্রমণ ও অনিয়মিত ঘুমের কারণে ঘুমের ঘাটতি, চুল পড়া ও দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তির সম্মুখীন হন। এভার পাতলা চুলের পেছনে রয়েছে ‘ট্র্যাকশন অ্যালোপেশিয়া। দীর্ঘ সময় চুলে এক্সটেনশন ব্যবহার, শক্তভাবে বাঁধা বা হেয়ারস্টাইলের কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।

ফেসিয়াল ও লিপ ফিলার অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে মুখের স্বাভাবিক গঠন বিকৃত হতে পারে। ফলে মুখ ফুলে যাওয়া, চিবুক সূচালো হওয়া এবং ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

ইনফ্লুয়েন্সারের এই ভয়াবহ চিত্র তৈরি করেছে casino.org, যা চিকিৎসাভিত্তিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেন, “ইনফ্লুয়েন্সারদের জীবন অনেক সময় রোমাঞ্চকর মনে হলেও বছরের পর বছর অ্যালগরিদমের চাপ, সৌন্দর্যের মানদণ্ড রক্ষা এবং অবিরাম কনটেন্ট তৈরির চাপ শরীর ও মনের জন্য মারাত্মক।

তিনি আরও বলেন, “‘এভা কেবল কল্পনা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাসের ফল। বার্তাটি স্পষ্ট: লক্ষ্য অর্জনে ভারসাম্য রাখুন, কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন এবং মনে রাখুন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতাই সবচেয়ে বড় ট্রেন্ড।

Link copied!