আরও একটি মাইলফলক অর্জন করেছে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথের দিকে ছুটে চলা স্পেস টেলিস্কোপ 'জেমস ওয়েব' ৫ স্তর বিশিষ্ট সান শিল্ড স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী বস্তুর সংকেতও শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাবিশ্বের জন্মরহস্য জানতে সফলভাবে কাজ শুরু করেছে নাসার তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ 'জেমস ওয়েব'। বিগত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে টেনিস কোর্টের সমান বিশাল নিরাপত্তা বলয় বা সানশিল্ড স্থাপনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া শুরু করে এটি। যার মধ্যে ছিলো, শিল্ডের জন্য সহায়ক কাঠামো স্থাপন ও প্রতিটি লেয়ার মজবুত করে জোড়া দেয়ার কাজ।
মহাকাশে জটিল এই কার্যক্রম শুরুর ৮ দিনের মাথায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার টেলিস্কোপটিতে থাকা ৫ স্তর বিশিষ্ট সানশিল্ড সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গাডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে অবস্থিত নাসার ওয়েব সানশিল্ড-এর পরিচালক জেমস কুপার এক বিবৃতিতে জানান, নিরাপত্তা বলয়টি স্থাপনের কাজ ছিলো অত্যন্ত জটিল। টেলিস্কোপটি পৃথিবীতে থাকাকালীন পরীক্ষামূলকভাবে এই শিল্ড স্থাপনের কাজটিই সবচেয়ে কঠিন ছিলো বলে অভিহিত করেন তিনি। মহাকাশে এটি সফলভাবে স্থাপনের পেছনে কয়েক হাজার প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন জেমস কুপার।
সানশিল্ডটি সফলভাবে স্থাপন হওয়ায়, এবার ৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া বিশালাকৃতির একটি প্রতিফলক আয়না স্থাপনের কাজ শুরু করবে টেলিস্কোপটি।
পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে নিজ কক্ষপথে পৌঁছে দূরে অবস্থিত গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল ও আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করবে এটি। নাসা ছাড়াও এটি নিয়ে কাজ করেছে ইউরোপ ও কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রকৌশলীরা। গেলো বছরের ২৫ ডিসেম্বর টেলিস্কোপটি মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করে।