করোনা পরিস্থির কারণে নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়ে গত মার্চ মাসে আয়োজন করা হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১। সেখানে প্রতিবারের মতো এবারও গ্রন্থমেলায় বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও লেখক হানিফ সংকেতের বই প্রকাশ হয়েছে। বইটির নাম ‘সংগত প্রসঙ্গত অসংগত’।
বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন হানিফ সংকেত। একই সাথে আমাদের নাগরিক সচেতনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। গভীর পর্যবেক্ষণ, রমণীয় বর্ণনা, ক্ষুরধার বুদ্ধিবৃত্তি তার উপস্থাপিত বিষয়গুলোকে করে তোলে জীবন্ত। তার এবারের গ্রন্থে সেই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হানিফ সংকেত বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটা লেখালেখি দিয়ে। সেটা সত্তর দশকের শুরুতে। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ‘ইত্যাদি’ নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩৩ বছর ধরেই আমাকে একটা শিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। তবে যত ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্তত একটি বই প্রকাশ করতে।’
‘সংগত প্রসঙ্গত অসংগত’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত জানান, ‘আমাদের সমাজ জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। যার কিছু সংগত, কিছু প্রসঙ্গত, কিছু অসংগত। যা মানুষকে হাসায়-কাঁদায়-ভাবায়, কখনো মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ায়, ক্ষোভ জন্মায়। এ থেকে সংগতভাবে মুক্তি চায় মানুষ। তাই সময় থাকতেই এসব বিষয়ে সঙ্গত কারণে দৃষ্টি দেয়া সঙ্গত। আর আমাদের বহমান জীবনে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানান প্রসঙ্গ আবির্ভূত হয়। তার মধ্যে গুরুত্বের বিচারে সমসাময়িক প্রসঙ্গকে প্রসঙ্গতই গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু নানা জটিলতা, কুটিলতার কারণে অসঙ্গতির প্রভাবে আমরা সময়ের কাজ সময়ে করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৌসুমী ফলের মতো কিছু মৌসুমী চরিত্র বিভিন্ন মৌসুমে কর্মকাণ্ড নিয়ে হাজির হয় মানুষের কাছে। ধরা পড়া আর না পড়াতে দুর্নীতির গতি ও নীতির দুর্গতি অতিশয় ক্ষতির প্রভাব ফেলে সমাজের সর্বত্র।’
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে উপন্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর হানিফ সংকেতের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে।এই সংগত প্রসঙ্গত অসংগত বিষয়গুলো নিয়েই ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত লেখার সংকলন নিয়েই তার বইটি প্রকাশ করেছে প্রিয় বাংলা প্রকাশন।