ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৩:০৮ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে ২১তম চলচ্চিত্র উৎসবের আসর ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৯’ এর পর্দা উঠেছে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির টিএসসি প্রাঙ্গণে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এই উৎসবের প্রথম দিনে আলমগীর কবিরের ‘সীমানা পেরিয়ে’ প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্দা ওঠে এই চলচ্চিত্র উৎসবের। এছাড়াও এদিন প্রদর্শিত হয় শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’, মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’, মুহাম্মদ কাইউম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’।
এই চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা যায়। তাছাড়াও অনেকেই তাদের পরিবার নিয়ে আসেন চলচ্চিত্র দেখতে। এ সময় তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’ বাংলা চলচ্চিত্রের পালে হাওয়া দিবে।
এ উৎসবে সিনেমা দেখতে আসা একজন দর্শক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ প্রতিবেদককে জানান এই উৎসবটি নিয়ে তার ভালো সময়গুলোর কথা। তিনি বলেন, ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবটি যখন শুরু হয় তখন টিএসসিতে রমরমা একটি পরিবেশ তৈরি হয়। এমন পরিবেশ তৈরি হয় যে মনে হয় ওদের সাথে আমি যোগ দেই। আমি প্রতিদিনই কোনো না কোনো সিনেমা দেখি যখন চলতে থাকে। কলকাতার সিনেমা থাকে তাছাড়া বাংলাদেশের যে সিনেমাগুলো এত বেশি দেখা যায় না সেগুলো দেখানো হয় এখানে। এখানে যখন মাত্র ৫০ টাকায় সিনেমা দেখানো হয় তখন সবাই দেখতে আগ্রহী হয়।’
পরিবার নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবে আসা এক দর্শক বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত অনেক ভালো। শুরুতে আমাদের অনেক ভালো ভালো চলচ্চিত্র তৈরি হতো। তখন আমরা সপরিবারে দেখতে যেতাম। মাঝখানে সেই সংস্কৃতির ছন্দপতন হয়। তবে এখন আবারও ভালো ভালো চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে। যার ফলে আমরা আবার পরিবারসহ সিনেমা দেখতে পাচ্ছি।’
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী মহান শহীদদের স্মরণ ও বাংলা সিনেমাকে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে এ উৎসবের ২০টি আসর সাফল্যের সাথে আয়োজন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ।
আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র সংসদের কার্যকরী সদস্য নাফিসা জামান বনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের যে কটি উৎসব আছে তার মধ্যে বড় একটি উৎসব এই আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি দর্শকের কাছে প্রতিবছরই ব্যাপক সাড়া পায়। গত বছরও আমি অর্গানাইজার হিসেবে ছিলাম। দেখেছি অনেকগুলো শো হাউজফুল হয়েছে। এবারও আমরা আশা করছি হাউজফুল হবে। আমরা হাওয়া, বিউটি সার্কাস, ধ্রুপদি- সমসাময়িক সব ধরনের সিনেমাই দেখাচ্ছি। এবার দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার আশা করছি।
এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষার ১৮টি ধ্রুপদি ও সমসাময়িক বাংলা চলচ্চিত্র, দুটি স্বল্পদৈর্ঘ ও দুটি প্রামাণ্যচিত্র।
উৎসবে প্রবেশের জন্য টিকিটের শুভেচ্ছা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।