চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমদ সাইমন। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এই নির্মাতা ২০১২ সালে ‘শুনতে কি পাও?‘ ছবির মাধ্যমে বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে বাংলাদেশি প্রথম পরিচালক হিসেবে নাম লেখান।
কান-বার্লিন-লক্রানোতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার আগে গত বছর সবাইকে অবাক করে তার সর্বশেষ ডকু ড্রামা মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত ‘নীল মুকুট’ নামে ওই ডকু ড্রামাটি মুক্তি পেয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমদ সাইমনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৯ আগস্ট বাংলাদেশি ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির মাধ্যমে মুক্তি পায়। সিনেমাটি হলে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্মাতার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
বিষয়বস্তু ও পটভূমি নিয়ে পরিচালক সাইমন বলেন, “নীল যদি ব্যথার রঙ হয়, আর মুকুট যদি হয় ক্ষমতার পরিচয় - ‘নীল মুকুট’ সেই অর্থে একটা অন্য রকম ছবি।
ডকুড্রামাটিতে কোনও গল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”প্লেনে একবার এক দূরদেশ যাত্রায় একটা কান্না শুনে মন খুব খারাপ হয়েছিল, কান্নাটা খুব ভাবিয়েছিল। সেই ভাবনার মুহূর্তটাকে ফ্রেমে আনার চেষ্টাই নীল মুকুট।’’
নীল মুকুট ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য পরেচালক তার দলবল নিয়ে ছুটে গেছেন সুদুর পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র হা্ইতিতে। ক্যারিবিয়ান এই দেশটিতেই হয়েছে ছবির ৬৫ ভাগ শুটিং। জানা গেছে, দুই বছর অপেক্ষার পরও ছবির কলাকুশলীরা ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পরিচালক ও প্রযোজক নিজেরাই ক্যামেরা চালানোসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল কাজ করেছেন।
কামার আহমদ সাইমন পরিচালিত এই ডকু ড্রামার কিছু উল্লেখযোগ্য চুম্বকঅংশ পাঠককদের জন্য তুলে ধরেছে দ্য রিপোর্টের বিনোদন টিম। ডকু ড্রামাটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হাইতিতে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের নারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে।
১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার বিভিন্ন মিশন ও অপরেশনে বাংলাদেশ সশস্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ১৯৮৮ সাল থেকে কাজ করে আসছেন।তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা জাতিসংঘের জন্য জীবনবাজী রেখে কাজ করছেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সৈন্য পাঠানোর দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত হয়েছে। তারপরও এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ে বাংলাদেশে কোনো সিনেমা বা ডকুড্রামা তৈরি হয়নি।
সাইমন পরিচালিত ডকু ড্রামাটির শুরু অনেকটা আফ্রিকার একটি জনপ্রিয় প্রবাদের ধারণা নিয়ে। প্রবাদটি হলো-সিংহীর গল্প শুরুর আগ পর্যন্ত শিকারী নায়ক থাকে। এটি আমাদের জানিয়ে দেয় আমরা একটি অসম্পূর্ণ গল্প নিয়ে কাজ করতে চলেছি।
নীল মুকুট ডকুড্রামাটিতে যুদ্ধবিধ্ধস্ত দেশ হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের নারী কর্মকর্তাদের একটি দলের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশের এই নারী কর্মকর্তাদের দলটি ২০১৪-২০১৫ মেয়াদে হাইতিতে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশি ওটিটি প্লাটফর্ম চরকি পরিবেশিত ১০০ মিনিট ব্যপ্তিকালের নীল মুকুট ডকু ড্রামাটি প্রয়োজন করেছেন সারা আফরীন।