গভীর সমুদ্রে নির্মিত দেশের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া এর প্রচারণা শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের মাধ্যমে এর প্রচারণা শুরু হয়।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৭টায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজির হন সিনেমাটির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনসহ এর কলাকুশলীরা। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুরকার ইমন চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী এরফান মৃধা শিবলু এবং ব্যান্ড মেঘদল।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী হাওয়া’র বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পীদের সাথে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন। মঞ্চে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজিফা তুষি, শরিফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান ও বাবলু বোস।
টিম হাওয়া জানায়, বঙ্গোপসাগরের বুকে নির্মিত হওয়া চলচ্চিত্রটিতে রয়েছে রহস্য উন্মোচনের উত্তেজনা। চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি, দৃশ্যায়ন, চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি, মোহময় উপস্থাপনা বারবার দর্শকদের দেখার আগ্রহ জাগাবে।
পরিচয়পর্ব শেষে হাওয়া 'র কলাকুশলীরা নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলেন জাবির মুক্তমঞ্চ। ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া ‘সাদা-সাদা কালা-কালা’ গান সহ সিনেমাটির আরেকটি অপ্রকাশিত গান এবং গীতিকার হাশিম মাহমুদের লেখা কয়েকটি গান পরিবেশন করেন চঞ্চল চৌধুরীসহ গানটির মূল শিল্পী এরফান মৃধা শিবলু ও সিনেমার কলাকুশলীরা। এরপর মঞ্চ মাতান ব্যান্ড মেঘদল।
হাওয়া চলচ্চিত্রটি বিষয়ে নির্মাতা সুমন জানান, ‘হাওয়া' গভীর সমুদ্রের গল্প। গভীর সমুদ্রের একদল মাঝির জীবনের রূপকথার গল্প।’ হাওয়া'র প্রচারণার শুরুটা হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ থেকে। তারপর দেশের উল্লেখযোগ্য চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছে টিম ‘হাওয়া’। যেখানে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীর সঙ্গে গান ও গল্পে মাতবেন কলাকুশলীরা। তিনি দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সপরিবারে সিনেমাটি উপভোগ করার অনুরোধ জানান।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন,“দর্শকদের কাছ থেকে আজ আমরা অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। আর বরাবরই জাহাঙ্গীরনগরের দর্শক এমন। এর আগেও আয়নাবাজি, দেবী সিনোমার সময় ও আমরা এখানে অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। এছাড়া, ২০ বছর আগে আমি যখন মঞ্চ নাটক করতাম তখন নতুন নাটক বের হলেই জাহাঙ্গীরনগরে শো হতো। সেই থেকেই জাহাঙ্গীরনগরের সাথে আমার সম্পর্ক।”
সিনেমা প্রচারণায় ভিন্নতার ব্যাপারে তিনি বলেন, “সিনেমা প্রচারে অনেকেরই নানারকম রাস্তাঘাট আছে। তবে আমাদের কাজ হচ্ছে সিনেমাটি মনোযোগ দিয়ে করা। দর্শকদের কাছে ম্যাসেজ টা পৌছে দেওয়া। বাদবাকি দায়িত্ব দর্শকের। সিনেমা প্রচারে বারবার এটা কেন বলবো আমার সিনেমা দেখতে আসুন, এটাতো দর্শকের দায়। শিল্পের একটা মান আছে। এটা কাজ দিয়ে প্রমাণ করার বিষয়। দর্শকদের তো শুধু শুধু বিব্রত করে লাভ নেই। সিনেমা যদি ভালো হয় দর্শকই বলবে। আমাদের যে গান টি প্রকাশ হলো দর্শকরাই কিন্তু গানটি প্রচার করছে। আমাদের কাজটি হচ্ছে যে কাজগুলা করছি তা দর্শকের সামনে তুলে ধরা।”
এদিকে, আজ ( ২৪ জুলাই) বিকেল ৩ টায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ(এআইইউবি) ক্যাম্পাসে এবং ২৫ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বসবে হাওয়া'র আসর৷ এরপর ২৬ জুলাই একই সময়ে একই টিম যাবে নটর ডেম ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে।
প্রসঙ্গত, আসছে ২৯ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘হাওয়া’ সিনেমাটি। এই মধ্যে ব্যতিক্রমী পোস্টার ট্রেলার ও সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান দিয়ে মুক্তির আগেই সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি। প্রশংসা করেছেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট লোকজন।