ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের সবুজ ঘাসের উইকেটে টসে জিতলে যে কোনো দলই সাধারণত বোলিং নেয়। টাইগার কাপ্তান মুমিনুল হকও তাই করেছিলেন। কিন্তু শুরুর দুই সেশনে বোলাররা টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি।
উল্টো দাপট দেখিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টম ল্যাথাম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি অপরাজিত রয়েছেন ১৩৩ রানে। ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে ফিরেছেন ওপেনার উইল ইয়ং। ডেভন কনওয়ে অপরাজিত রয়েছেন ৩৯ রানে।
দলীয় সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩৩।
ওপেনিং জুটিতেই দারুণ শুরু করে কিউইরা। ফলে বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে দাপট দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল প্রথম সেশনে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। দুবার রিভিউ নিয়ে দুবারই বেঁচে গেছেন ল্যাথাম। প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে মোট ৯২ রান তুলেছে কিউইরা।
প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনও দারুণ গিয়েছে কিউইদের। রান ২০০ ছাড়িয়েছে। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ল্যাথাম। তবে আরেক ওপেনার উইল ইয়ংকে এই সেশনে বিদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন তিনি। ১১৪ বল খেলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেছেন এই কিউই ওপেনার।
অথচ সমীকরণটা উল্টো হতে পারত। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথম দিনে ব্যাটিং করা খুব কঠিন। আগের সাত টেস্টে প্রথম ইনিংসে অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল না একটিও। এবার এই কঠিন কন্ডিশনে শুরুতেই ১৪৮ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়েছেন দুই কিউই তারকা ল্যাথাম ও ইয়ং। এটাই এই মাঠে শুরুর জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ল্যাথাম ও হ্যামিশ রাদারফোর্ডের ৩৭ রানই ছিল এতদিন সর্বোচ্চ জুটি।