বিপিএলে জাদুকর কোচ সালাউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। টানা ২ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা। আবার টানা তৃতীয় বারের মত ফাইনালে উঠেছে। সব মিলিয়ে ২০১৫ থেকে ৭ আসরে ৫ ফাইনাল তো চাট্টিখানি কথা নয়। দেশী কোচদের মধ্যে সবচেয়ে সুনাম অর্জন করা এই কোচ ও মালিক নাফিসা কামাল মিলে কুমিল্লাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আরেকদিকে সাকিব এবার রংপুর রাইডার্সে খেলছেন। গত ৯ আসরে তিনি ৪ বারের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট। এই আসরে প্রথম ৩-৪ ম্যাচ খারাপ খেলে আবার তিনি আসর সেরা হওয়ার জন্য লড়বেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এটি। এবার প্রযুক্তির যোগ হয়েছে। তবে বিশে^ আর ২টি লিগ চলায় সেভাবে তারকা টানতে পারেনি আসরটি। ২০১২ সালে শুরু হয় বিপিএলের যাত্রা। ২০১৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতায় হয়নি। করোনা মহামারীর জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে আসরটি মাঠে গড়ায়নি।
কুমিল্লা গতবার মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। নাজমুল হোসেন শান্ত টুর্নামেন্ট সেরা হন। ২০২২ এ তারা ফাইনালে হারায় ফরচুন বরিশালকে। সেবার সেরা আসর সেরা সাকিব।
বিপিএলের শুরুর দুই মৌসুম অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা। ২০১৫ থেকে কুমিল্লা এই আসরে যুক্ত হয়। আর সেবারই তারা প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়। এসেই একেবারে বাজিমাত।
ঢাকা আবার ২০১৬ তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। নাম বদলেছে তখন। ২০১৭ ও ২০১৯ এ রংপুর ও রাজশাহী শিরোপা নিয়ে যায়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আগের ৯টি ফাইনালই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও সেটাই হতে যাচ্ছে। আবার কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন না হলেই বরং সবাই অবাক হবে। ব্রাজিল যেমন বিশ^কাপে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন। তেমন কুমিল্লারও ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ সামনে।
আগের ৯ আসরে কুমিল্লা ৪ ও ঢাকা ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন। রাজশাহী ও রংপুর একবার শিরোপা জিতেছে। রাজশাহীর কোনো ফ্রাঞ্চাইজি এবার তো নেই।
কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিনের ম্যাজিকে আরও একধাপ দুরে শিরোপা থেকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া একটা অভ্যাসের ব্যাপার। আর কুমিল্লার সেটা রয়েছে।