বেটা
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কেবল এক ডোজ ব্যবহারের কার্যকর ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। মহামারী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ২৭ সদস্যের ব্লকে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জে অ্যান্ড জে এই অনুমোদন পেলো।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকাদান কার্যক্রমে ইইউ’র ধীরগিতর অবস্থা থেকে উত্তরণে এই সিদ্ধান্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
জে অ্যান্ড জে বলেছে, এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ইইউ ব্লকে তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করবে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের মধ্যে ইইউ, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডে ২০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’র (ইএমএ) সুপারিশের পরে ইউরোপিয়ান কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল।
ইইউ কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন এক টুইটে বলেছেন, ‘আরো নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জে অ্যান্ড জে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি এবং ভ্যাকসিন ডোজের সরবরাহের আদেশ দিয়েছি। এই বছরে জে অ্যান্ড জে’র ২০ কোটি ডোজ সরবরাহ পেতে পারি।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইইউ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০ কোটি ডোজ সরবরাহ চুক্তিতে সাক্ষর করেছে। এছাড়া আরো ২০ কোটি ডোজ সরবরাহের প্রস্তাব চলমান রয়েছে।
জে এন্ড জে ভ্যাকসিন নির্বাচনে প্রথম অগ্রাধিকার পেয়েছে এই ভ্যাকসিন। দুই ডোজের বিপরীতে এক ডোজ দিতে হবে এবং এটির সংরক্ষণ সহজতর।
ইইউ জে অ্যান্ড জে ছাড়াও আরো তিনটি ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে, এ গুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, এবং অক্সফোর্ড- আস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন। এ ছাড়াও ইএমএ নোভাভ্যাক্স, কুরিভ্যাক এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভাইভ ভ্যাকসিন অনুমোদনের বিষয়ে পর্যালোচনা করছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি।
ইএমএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ক্লিনিক্যাল টেস্টে কোভিড-১৯ রোধে জে অ্যান্ড জে’র ৬৭ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়ার পর এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
