করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর তিন পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৯, ২০২১, ১০:১০ পিএম

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর তিন পরামর্শ

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ার আশঙ্কায় এপ্রিল, মে ও জুন মাস ঘিরে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছরের গ্রীষ্মকালের অভিজ্ঞতায় তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) করোনা বিষয়ক আলোচনায় এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোভিড নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি সব জায়গায় বলছি যে আমরা একেবারে কমফোর্ট জোনে আছি, এটা যেন চিন্তা না করি। আমরা অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু একেবারে কমফোর্ট জোনে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিনটা জিনিস বলেছেন- আমরা যেন অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করি, যথাসম্ভব আমরা যেন সতর্কতা অবলম্বন করি এবং পাবলিক গ্যাদারিং যেখানে হচ্ছে বিশেষ করে কক্সবাজার বা হিল ট্রাকসে বা আমাদের বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যে গ্যাদারিং হচ্ছে সেখানে যেন একটা লিমিটেড সংখ্যায় থাকি। যেখানে আমাদের নিজেরও যেন একটা দায়িত্ববোধ থাকে যে বেশি সংখ্যক লোক যেখানে আছে সেখানে যেন না যাই। আর যারা যাবেন তারা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা অনুগ্রহ করে মেনে চলি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের ধারণা ছিল যে শীতকালে বোধ হয় পিকে চলে যাবে। কিন্তু পিক ছিল হাই সামারে। সুতরাং এপ্রিল, মে, জুন আমাদের হাই সাফার হবে। ভ্যাকসিন নিলেই সায়েনটিস্টরা বলছেন না যে আপনি পুরোপুরি প্রটেকটেড। ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতটা গত কয়েকদিন ধরে কমে গেছে- এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। ওরা দু’একদিনের মধ্যেই কথা বলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। বিদেশিদের এনআইডি নেই, তাদের পাসপোর্ট দিয়ে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম একটা ব্যবস্থা নেবো।

Link copied!