করোনায় বিপর্যস্ত ভারতের হরিদ্বারে কুম্ভমেলা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে জড়ো হতে শুরু করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। মহামারির ভয়াবহতা রোধে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই লাখে লাখে মানুষ জড়ো হচ্ছে এই মেলায়।
কয়েক মাসব্যাপী এই কুম্ভমেলা হিন্দুদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। সাধারণত প্রতি ১২ বছর পর পর এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। এই সময় কোটির ওপর হিন্দু ধর্মাবলম্বী চারটি তীর্থস্থানে জড়ো হয়ে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যে হিমালয়ের পাদদেশে হরিদ্বারে চলতি বছরের কুম্ভমেলা হচ্ছে। এখানে ভক্তরা জড়ো হয়ে প্রার্থনা করে এবং গঙ্গার পবিত্র জলে নিজেদের পাপ মোচনে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালন করে। হিন্দু ভক্তরা বিশ্বাস করে নির্দিষ্ট কিছু দিনে নদীটির পানি ‘অমৃত’ হয়ে যায়।
তবে করোনাভাইরাস জনিত পদক্ষেপের কারণে এবার কুম্ভমেলা পিছিয়ে দেয়া হয়। এটা সাধারণত জানুয়ারি মাসে মকর সংক্রান্তিতে হয়ে থাকে কিন্তু গঙ্গায় পবিত্র গোসল করার অনুমতি দেয়া থেকে বিরত থাকে সরকার। সাধারণত সাড়ে তিন মাসব্যাপী এই মেলা হয়ে থাকে। তবে সরকার এবার সেটা কমিয়ে এক মাস করেছে।
ফেস্টিভেল অফিসার হারবার সিং বলেছেন, বৃহস্পতিবার উৎসব শুরু হয়েছে। গঙ্গার তীরে পবিত্র স্নান করেছে ভক্তরা। আর ধর্মীয় ব্যক্তিরা ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করেছে। উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে ধর্মীয় গুরুদের আসার আগে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হিন্দু ধর্মমতে সমুদ্র মন্থন করে অমৃত কুম্ভের হাঁড়ি পাওয়ার পর দেবতারা যখন সেই হাঁড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন, তখন হাঁড়ি থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল যে চার জায়গায় সেখানেই কুম্ভমেলা হয়। সাধারণ কুম্ভমেলা প্রতি ৪ বছর পর পর আয়োজিত হয়। প্রতি ৬ বছর পর পর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে অর্ধকুম্ভ আয়োজিত হয়। প্রতি ১২ বছর পর পর প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিকে পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হয়।
সূত্র: সিএনএন।