কানাডায় করোনা মোকাবেলায় দেওয়া লকডাউন ও অন্যান্য সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। শনিবার (১ মে) মন্ট্রিলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এই বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করেন। সমাবেশে মাস্ক, কারফিউ ও হেলথ পাসপোর্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের ‘নো মোর কারফিউ, নো মোর লকডাউন, উই ওয়ান ফ্রিডম’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশ উৎসবমুখর থাকলেও সেখানে প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশে ঠিক কত মানুষ অংশ নিয়েছেন সে সম্পর্কে পুলিশ কিছু না বললেও দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। সমাবেশের শুরুতেই কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
কুইবেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যেকোনো সমাবেশের চেয়ে এটি বড় ছিল। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্ব মানারও কোনো লক্ষণ ছিল না। তারা করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেয়া নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য দাবি করেন। তারা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকের সমালোচনা ও জানুয়ারি থেকে জারি থাকা কারফিউয়ের বিরুদ্ধেও কথা বলেন।
এছাড়া সমাবেশের আয়োজকরা করোনা প্রতিরোধে নেয়া স্বাস্থ্য পদক্ষেপসমূহ বাতিলের দাবি জানান।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সমাবেশকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ভ্রমণপিপাসু কানাডার নাগরিকরা গ্রীষ্মের হাতছানি আসতে না আসতেই ছুটে যান ভ্রমণে। প্রায় আট মাস বরফে আচ্ছাদিত থাকে কানাডা। পাহাড়, পর্বত, বন সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কানাডায় প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক গ্রীষ্মের ছুটিতে যান। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় দুই বছর যাবৎ তা আর হচ্ছে না। এ অবস্থায় একদিকে গৃহবন্দী হয়ে বসে থাকা আর অন্যদিকে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কানাডার নাগরিকরা।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ হাজার ৩০০ জন। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন।