বেটা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীতে মৃত্যুর সংখ্যা কোনোভাবেই থামছে না। বরং এই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনার মৃত্যুমিছিলে প্রতিদিনই নতুন নতুন মরদেহ যোগ হচ্ছে। শনাক্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিভাগের করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান চিকিৎসালয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮ জন।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো দৈনিক করোনা রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকাল ৮ টার মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়।
রামেক হাসপাতালের প্রতিদিনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। সেই সঙ্গে বুধবার (৭ জুলাই) ২০ জন, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ১৯ জন, সোমবার (৫ জুলাই) ১৮ জন, রবিবার (৪ জুলাই) ১২ জন, শনিবার (৩ জুলাই) ১৩ জন এবং গত শুক্রবার (২ জুলাই) মারা যায় ১৭ জন।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো রামেক হাসপাতাল রিপোর্টে বলা হয় ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন, নাটোরের ২ জন, নওগাঁর ২ জন, কুষ্টিয়ার ১ জন ও সিরাজগঘ্জের ১ জন রয়েছেন।মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ২ জন ও নওগাঁর ১ জন করোনা পজিটিভ আক্রান্ত ছিলেন। মৃত অন্য ১৫ জন সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয় ‘শুক্রবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন। শুক্রবার পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৫০১ জন করোনারোগী ভর্তি আছেন। এদিন গত ২৪ ঘন্টায় ৫২ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন বলেও রিপোর্টে জানানো হয়।
রামেক হাসপাতালের রিপোর্টে আরও বলা হয়, শুক্রবার (০৯ জুলাই) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ৫০১ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ৩০৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৬ জন, নাটোরের ৫৪ জন, নওগাঁর ৪৫ জন, পাবনার ৪৪ জন, কুষ্টিয়ার ৫ জন, চুয়াডাঙ্গার ২ জন, জয়পুরহাটের ১ জন, সিরাজগঞ্জের ১ জন,নীলফামারীর ১ জন, মেহেরপুরের ১ জন ও বগুড়ার ২ জন রয়েছেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫০১ জন রোগীর মধ্যে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ২০৬ জন, সন্দেহভাজন ২৩১ জন ও ৬৪ জন নেগেটিভ রোগী রয়েছেন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
