চোখ রাঙাচ্ছে মাছের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম

চোখ রাঙাচ্ছে মাছের বাজার

রাজধানীর বাজারগুলোতে চোখ রাঙাচ্ছে মাছের দাম। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় একটা সিন্ডিকেট ইচ্ছে করে অন্য মাছের দাম বাড়িয়েছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ না থাকায় পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত অন্য সব মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে ইলিশ এলে মাছের বাজারের এই উত্তাপ কমে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর টাউন হল, মোহাম্মদপুর বাজার ঘুরে এই তথ্য জানা যায়।

ক্রেতাদের অভিযোগ, যখন তখন নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা।



সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে নিজাম শিকদার দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, মাছের বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আগুন। ব্যবসায়ীরা সব মাছেই কেজি প্রতি দাম বাড়িয়েছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা। মনিটরিংয়ের অভাবে এই অবস্থা।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের বাজার একটু চড়া এটা ঠিক। ইলিশ মাছ বাজারে আসলে আবার ঠিক হয়ে যাবে।

টাউন হলের মাছ বিক্রেতা আক্তার উদ্দিন  বলেন, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজিতে, কাতল ৩৫০ টাকায়, বোয়াল ৫০০-৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা , তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকায়, কই ২০০-২২০ টাকায়, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শিং (ছোট) ৪৫০-৫০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০-৫০০, শোল ৩০০-৪০০ টাকা এবং আইড় ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত সুমন চৌধুরী সাপ্তাহিক বাজার করে ফেরার পথে মুখোমুখি হয় দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভের। কি কি বাজার করলেন, দরদাম নিয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘যে হারে প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ছে এতে না খেয়ে থাকার মত অবস্থা। অনেক কিছু কেনাই বন্ধ করে দিয়েছি। তাও প্রতি সপ্তাহে বাজারে আসলে দেখি আগের সপ্তাহের তুলনায় আবার দাম বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই চাকরিতে হবে না রে ভাই।‘

রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই চোখে পড়ছে ডালা ভরে রাখা মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও গাজর। এসব আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।



সব্জি বিক্রেতা হায়দার আলী জানান, তার কাছে থাকা সব ধরণের সবজি আছে। শিম ১০০ টাকা, শালগম ও নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে গতকাল। তাঁর দোকানে বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়। এসব সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচের দাম নেওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

মুদি দোকানেও গিয়ে মিলছে না সুখবর। মুদি দোকানদার রইছ আলী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে পেঁয়াজ এর দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া চায়না রসুন ১৪০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা।

চালের বাজারে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। পাইকারী হারে বস্তা প্রতি  ৫০-১০০ টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ে নাই।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় এই  সপ্তাহে দাম বেড়েছে মুরগীর। ব্রয়লার, কক মুরগী, দেশী মুরগী, পাকিস্তানী মুরগীর পাইকারী হারে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বলছিলেন বিক্রেতা রায়হান। গরুর মাংসের দাম ৭৫০টাকা। খাসির মাংসের দাম ৯৫০টাকা, ছাগলের মাংসের দাম ৮৫০টাকা।

Link copied!