ঋণ জালিয়াতি: এসকে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৯, ২০২১, ০৭:৩০ পিএম

ঋণ জালিয়াতি: এসকে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত বছর এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলার এই রায় ঘোষণা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২১ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ধার্য করেন এই আদালত। গত ৫ অক্টোবর একই আদালত দ্বিতীয় বারের মতো রায়ের জন্য ২১ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

মামলা চলাকালে বিচারপতি এসকে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী আইনি লড়াই চালান নি। পলাতক অপর আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্তি রায় সিমি।

প্রসঙ্গত, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে চার কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এই অভিযোগে  ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরবতীতৈ ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।

Link copied!