নভেম্বর ১৯, ২০২১, ১১:৪৩ পিএম
বিএনপিকে মানুষ কোন আশায় ভোট দেবে? এরা দেশের গরীবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। দলটির নেতা বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। তাদের আয়ের উৎস কি? শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রশ্ন রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরীবের ধনসম্পদ চুরি করে অর্থ সম্পদের মালিক হওয়া কিছু মানুষ মিটিং করছেন কি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়। এভাবে তো আওয়ামী লীগবে ক্ষমতার বাইরে রাখা যাবে না।
এসময় তিনি জনগণের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি’।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা যতই ভাল কাজ করি না কেন বিদেশে বসে কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। জবাব দিতে হবে’।
নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কেউ দল করতে পারবে এতে বাধা দেওয়া হবে না। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসীর বার্তার পুনরাবৃত্তি করেন।
‘দেশের কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধ করলেও তাদের অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্তদের জন্য মায়াকান্না করছে’-বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা সকলে ১৫ আগস্ট খুনীদের মদদ দিয়েছে। তাদের পুনর্বাসন করেছে। এতো উন্নয়নেরও পর কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে’।
গ্রেনেড হামরা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার টার্গেট সবসময় আমি। খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছি আমি প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। শতবছরেও ক্ষমতা আসতে পারব না। এসব ঘোষণার পরই হামলা। গ্রেনেড হামলা।’
কুমিল্লার পুজা মণ্ডপের ঘটনা প্রসঙ্গে আবারো বলেন, “একজন মুসলমান হয়ে কিভাবে হনুমানের সামনে কোরআন শরীফ রেখে কোরআন শরীফের অবমাননা কি করে করে?” । এদের পিছনে কারা সব তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসে গেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে।