করোনা ভাইরাস যেনো গিরগিটি। বারবার রং বদল করে হাজির হয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে। বারবার বদলে যাওয়া ভ্যারিয়েন্ট যেন আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ধরা দিচ্ছে। আঘাত হানছে আগের চেয়েও শক্তভাবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের আরও একটি শক্তিশালী ধরন। সি-ওয়ান-টু নামের ধরনটি আগের সবগুলো ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী বলেই ধারণা গবেষকদের। দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি গবেষণা সংস্থার বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সবধরনের টিকা অকার্যকর।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, নতুন সি-ওয়ান-টু ধরনটি টিকা নেয়া থাকলেও তার কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। চলতি বছরের মে মাসে প্রথম এই ধরনটি প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর চীন, সুইজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডেও এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। নতুন এই ধরণটির মিউটেশন হয় খুব দ্রুত। তাই এর সংক্রমণের মাত্রাও বেশি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজের ভাইরোলজিস্ট পেনি মুর বলেছেন, ‘আমরা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে নজর রাখছি’। আমরা এই ভ্যারিয়েন্টটি নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ পরবর্তী বা ভ্যাকসিনেশন থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডির ফলাফল মূল্যায়ন করছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ না কি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে মনোনীত করতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজ এখনো চলছে। ভাইরাসের অভিযোজন বুঝে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলগত ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে’।