ফ্রান্স সরকারের শীর্ষ উপদেষ্টা জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি বলেছেন, ‘আগামী শীতে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে ‘ শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিএফএম নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে করোনার নতুন নতুন ঢেউ আঘাত হেনেছে বিশ্বজুড়ে। সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের ভারতে শনাক্ত হওয়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে দেশটি নিজে যেমন ভুগেছে, তেমনি এশিয়ার অনেক দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে এ ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। এই বিপর্যয়ের মধ্যেই ফ্রান্স সরকারের এই উপদেষ্টা নতুন এই সতর্কবার্তা দিলেন।
জানা গেছে, জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি ফ্রান্স সরকারের সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘আসছে শীতে আমরা হয়তো আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের উত্থান দেখতে পাব।’
এসমসয়,জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি আরও বলেন, এই ভ্যারিয়েন্ট আগের যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বিপজ্জনক হবে কি না, তিনি এখনই তা অনুমান করতে পারছেন না। তবে করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতা তুলনামূলক কমে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনো শঙ্কিত এই বিশেষজ্ঞ। তাই ফ্রান্সের নাগরিকদের আবারও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফ্রাঙ্কোয়েস বলেন, ‘২০২২ অথবা ২০২৩ সালে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে।’
জ্যঁ ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেসি আরও বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সহাবস্থান। এই সহাবস্থান হলো, করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া ব্যক্তি ও টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের সহাবস্থান।’
করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে ফ্রান্স সরকার ইতিমধ্যে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। সিনেমা হল, জাদুঘর, সুইমিংপুল ও স্টেডিয়ামে যেতে তাঁর দেশের নাগরিকদের ‘হেলথ পাস’ দেখাতে হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাসিন্দারা টিকা নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে এই হেলথ পাসের মাধ্যমে। যদিও এ নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
সূত্র: এএফপি।