টিকটক নিষিদ্ধ করলো মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:১৯ পিএম

টিকটক নিষিদ্ধ করলো মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে নিষিদ্ধ করা হলো চীনের জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) হাউজের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্পিন্ডর সব আইনপ্রণেতা এবং কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি বার্তায় বলেছেন, বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সমস্যার কারণে অ্যাপটিকে উচ্চঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই সাথে হাউজ পরিচালিত সব ডিভাইস থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, নির্বাহী শাখার ডিভাইসগুলোতে টিকটক নিষিদ্ধের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য হাউজ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির সাথে কাজ করেছে। কর্মীদের কাছে যে বার্তা দেয়া হয়েছে তাতে ডিভাইসে টিকটক ভবিষ্যতে ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  

চীন সরকার মার্কিনিদের ওপর গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাতে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে ১৯টি মার্কিন রাজ্য অন্তত রাষ্ট্র-পরিচালিত ডিভাইস থেকে অ্যাপটিকে আংশিকভাবে ব্লক করেছে। প্রতিরক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি ব্যয় নির্বাহে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। সেই বিলে ফেডারেলভাবে পরিচালিত ডিভাইসগুলোতে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  স্বাক্ষর করলে তা কার্যকর হবে।

এদিকে মার্কিন আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকে টিকটকের মালিকানা কোম্পানি বাইড্যান্স একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালায়, তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

জানা যায়, চীনে তাঁদের চার কর্মী টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করে বাজফেড , ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এবং ফোর্বসের মতো বড় মার্কিন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেছেন। 

অভিযুক্ত কর্মীরা মার্কিন সাংবাদিকদের আইপি অ্যাড্রেস জোগাড় করে তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন-আসছেন তা ট্র্যাক করত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ওই চার কর্মীকে চাকরি থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর সংস্থাটি দাবি করে কোনো মার্কিন ইউজারদের ডাটা তাঁরা মজুদ করে রাখেনি। কিন্তু তা কোনোভাবেই মানতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।

২০২০ সালের আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টিকটক বন্ধের জন্যে ট্রাম্প একটি অর্ডারেও সইও করেছিলেন কিন্তু সেটাকে বাতিল করে দেন মার্কিন বিচারকরা। 

Link copied!