দেশে শিল্পকারখানার ৭২ শতাংশই আবাসিক এলাকায়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৫, ২০২২, ০৮:৫০ পিএম

দেশে শিল্পকারখানার ৭২ শতাংশই আবাসিক এলাকায়

দেশে বিদ্যমান শিল্পকারখানার ৭২ শতাংশই আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। এনিয়ে দেশে কোন আইনি বিধান নেই। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে টিআইবি।

টিআইবির প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে শতকরা ৫১ ভাগ শিল্পকারখানায় পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানে অনিয়ম রয়েছে। এছাড়া জরিপের আওতাভুক্ত শতকরা ৫৭ ভাগ শিল্পকারখানা বা প্রকল্প কোনো প্রকার পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ছাড়াই পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে।

শিল্পকারখানার শতকরা ৬৬ ভাগ পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগসাজশের মাধ্যমে নিয়ম বহির্ভূত আর্থিক লেনদেন করে থাকে। আবার শতকরা ১৭ ভাগ শিল্পকারখানা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না পাওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

টিআইবি জানায়, আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন না করার আইনি বিধান থাকলেও জরিপের আওতাভুক্ত ৭২ শতাংশ শিল্পকারখানা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয়।

এদিকে, পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে প্রভাবশালী আমলা এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের একাংশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক থাকায় প্রভাব এবং যোগসাজশের মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ সম্পাদন করেও ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে অযৌক্তিকভাবে একই কর্মকর্তার ১০ বারসহ ১০ বছরে মোট ২৯৩ জন কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ভ্রমণ বাবদ অর্থ অপচয় করা হয়েছে।

গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণে টিআইবি বলছে, বিদ্যমান পরিবেশ আইন, বিধিমালাসহ সম্পূরক আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্মীদের একাংশের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন ও তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ঘাটতির ফলে পরিবেশ অধিদপ্তরে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, জনসম্পৃক্ত এবং কার্যকর সমন্বয়ে ঘাটতি রয়েছে।

Link copied!