ঢাবিতে সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণে ‘সঞ্জীব উৎসব’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ঢাবিতে সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণে ‘সঞ্জীব উৎসব’

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

সঞ্জীব চৌধুরীর ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে ‘সঞ্জীব উৎসব ২০২৩’ পালনে এক সংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।  

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় শুরু হয় সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ উৎসব আয়োজিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি ও আজব কারখানার সহযোগিতায় উৎসবের ১২তম আসর এটি। 

সঞ্জীব উৎসবে উপস্থিত ছিলেন- কণ্ঠশিল্পী লিমন, জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, মুয়ীজ মাহফুজ, আহমেদ হাসান সানি, সাহস মুস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, রাজেশ মজুমদার, অর্ঘ্য, শতাব্দী ভব, অং, রাশেদ ও গানের দল ঘুণপোকা।

আয়োজকরা জানান, দেশীয় সঙ্গীতে সঞ্জীব চৌধুরীর সৃষ্টি আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে। ব্যান্ড দলছুট নিয়ে তিনি কথা, সুর, সংগীতের অনন্য এক মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন; যা এখনও শ্রোতার মনে অনুরণন তুলে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটির সভাপতি ইনজামাম উল ইবনে কবীর সাকলাইন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা আয়োজনের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত মনে করছি।

উল্লেখ্য, সঞ্জীব চৌধুরী জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে। এর পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্য চর্চা। নন্দিত এই শিল্পী বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’। 

তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয় কয়েকটি গান হলো- ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি ফিরে পেতে চাই’, ‘চোখটা এতো পোড়ায় কেন’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘বায়োস্কোপ’ ইত্যাদি।

২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

Link copied!