জুন ২৭, ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, সব তাদের মনগড়া। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা এসব কথা বলছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট শহরতলির খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ইতিমধ্যে দেশের প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার সদস্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শান্তি স্থাপনে সাহায্য করছেন। এখন কিছু সংস্থা মনগড়া তথ্য দিয়েছে। উদ্দেশ্য কিন্তু যেটা বলছে সেটা না। উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ কখনো কাউকে যাচাই–বাছাই না করে শান্তি রক্ষা মিশনে নেয় না। সেদিকে বাংলাদেশ সব সময় সফল থাকে।
যেসব দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হয় তাদের দাবিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি কিছু শক্তি আগ বাড়িয়ে কাজ করে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, লিবিয়া খুব শান্তির দেশ ছিল, ইরাক খুব শান্তির দেশ ছিল, সিরিয়া খুব শান্তির দেশ ছিল। ওই সব এলাকার মধ্যে উন্নত দেশ ছিল। ওই দেশগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। যাতে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাংলাদেশকে চালাতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কারো অভিযোগ থাকতেই পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক না। সরকার স্থিতিশীল থাকলে দেশের উন্নতি হয়।