এইচ টি ইমামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৪, ২০২২, ০২:২০ পিএম

এইচ টি ইমামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এইচ টি ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে। বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমামের, যিনি এইচ টি ইমাম নামেই পরিচিত; চার মার্চ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।কিডনিসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের চার মার্চ ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এই আমলা। 

বাবার চাকরি সূত্রে শৈশবে রাজশাহীতে অবস্থানের কারণে সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তিনি। পরে লেখাপড়া করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও কলকাতায়। ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন ঢাকা কলেজিয়েট হাইস্কুল থেকে। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। রাজশাহী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৫৬ সালে। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পর রাজশাহী সরকারি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। 

পাকিস্তানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৬১ ব্যাচের সিএসপিদের মধ্যে তিনি চতুর্থ স্থান লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে ‘উন্নয়ন প্রশাসনে’ পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।

পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে সদস্য হিসেবে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেন। শুরুতে তিনি রাজশাহী কালেক্টরেটে ১৯৬২-১৯৬৩ মেয়াদে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পদোন্নতি লাভ করে ১৯৬৩-১৯৬৪ মেয়াদে নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি নারায়ণগঞ্জ মহকুমার এসডিও হিসেবে বদলি হন এবং প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম ক্যাবিনেট সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ এর মার্চ মাসে তিনি রাঙামাটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত সাভারে লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত তিনি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা সচিবের পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া যমুনা মাল্টিপারপাস ব্রিজ অথরিটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ক্যাবিনেটে মন্ত্রীর মর্যাদায় জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করেন। ২০১৪ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। তিনি ২০০৯ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন।

Link copied!