দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেন জিয়াউর রহমান এবং বেগম জিয়া এখনো সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে তার বাসভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুমের রাজনীতি শুরু হয়েছে'-এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া তার ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে সেনাসদস্যসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেবদের মনে রাখা উচিত জিয়াউর রহমানের সময় কত মানুষকে গুম হয়েছে’।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত থাকা জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখলের পর শুরু করা খুনের রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বাবু, চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দও রেহাই পাননি। তাই তার দলের নেতাদের মুখে গুম নিয়ে কথা শোভা পায় না’।
এর আগে ড. হাছান মাহমুদ পিআইবির অনলাইন সেমিনারে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য তথ্য উদঘাটনে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘কেবল গুটিকতেক বিপথগামী সেনাসদস্যই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ঘটায়নি। এর মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। এসময় তিনি আরো বলেন, এছাড়া বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ঈদের জামাতে আওয়ামী লীগের ৫ জন সংসদ সদস্যকে হত্যা, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে অভাবের বানোয়াট ছবি প্রচার, পাটের গুদামে আগুনসহ দেশবিরোধী নানা চক্রান্ত এবং দেশের স্বার্থে বাকশাল গঠনের সত্যিকার পটভূমি মানুষের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ১৯৭১-১৯৭৫ সালের যেসব সাংবাদিকরা এখনো জীবিত রয়েছেন, তাদের বক্তব্য সংরক্ষণ করতে পিআইবকে নির্দেশনা দেন তথ্যমন্ত্রী।
পিআইবি'র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, বিশেষ বক্তা ইতিহাসের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, ড. মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।