জুলাই ২৫, ২০২২, ০৭:২০ পিএম
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আগেও চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। পরে আমাদের নামে ব্যাপকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যাঁরা হজে ছিলেন, চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তাঁদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। এই চায়ের দাওয়াতে কী আছে, সেখানে কী থাকবে—ধুতরার ফুল থাকবে, নাকি হ্যামলকের রস থাকবে। এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।”
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদ্যুৎ সংকট এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “ইতিপূর্বে তাঁদের আচরণ আমাদের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ চোখ বন্ধ করে নেই। কে হত্যা, কে গুম করছে সবাই জানে। এমনকি এই আকাশ সংস্কৃতির যুগে বিশ্বের সব মানুষ তা এখন জানে।”
বড় প্রকল্পের নামে টাকা লুট হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, দেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই তাদের হয়তো আদালতে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত কেন দিচ্ছেন? যদি নিরপেক্ষ সরকার দিতে চান। তবে আলোচনা হতে পারে। তবে তাঁরা তো গণতন্ত্রকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছেন। তাঁরা বলেন সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ নেই। এর দৃষ্টান্ত তো ১৯৯৬ সালে হয়েছিল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে দস্যুদের মতো। গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”