জুলাই ৮, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তবে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই এমন বলা যাচ্ছে না। অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ঈদের নামাজে মোবাইল আনা বা না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, যদি মোবাইল আনতেই হয় তাহলে মোবাইল ও টাকা পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে মোবাইল হাতে রাখতে হবে। কারণ এক শ্রেণির মানুষ নামাজ পড়তে না এসে চুরির সুযোগ খোঁজে। এছাড়া ব্যাগসহ অন্য কিছু আনার সুযোগ থাকবে না।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা আনতে পারবেন। তবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করে আসতে হবে।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে, তাহলে তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। যে যেখানেই যান আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন। যারা ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবেন তাদেরকে বাসার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বিশেষ করে স্বর্ণ ও টাকা ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার আশপাশ থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জঙ্গিরা সবসময় হামলার সুযোগ খোঁজে। আমরাও তৎপর আছি তাই পীর সাহেবদের মাজার এবং শিয়াদের ঈদগাহ গুলোতে বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শপিংমল এবং স্বর্ণের দোকানের নিরাপত্তার জন্য গত ১৫ দিন আগে থেকেই মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। যাতে অপরাধ করে কেউ পালিয়ে থাকতে না পারে। কারণ বিভিন্ন চুরির ঘটনার সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা কর্মীদের যোগসাজশ থাকে।