বেটা
আগস্ট ২১, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার তারা স্বীকার করতে চান না। তাই তারা বিদেশিদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে নিজেদের টিকে থাকার জন্য ভিক্ষার হাত প্রসারিত করেছে। সরকারের সমালোচনাকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের সত্য উচ্চারণে নির্ভীক ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্ষমতায় টিকে থাকার আবশ্যকীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।
ররিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় রিজভী বলেন, গুম-খুনের হোতাদের বিচার করতে রাজপথে নেমেছে দেশের মানুষ। মানবতাবিরোধী সরকারের পতন কেউ রুখতে পারবে না। দেশের স্বাধীনতার তথাকথিত চ্যাম্পিয়নের দাবিদার আওয়ামী লীগের আজ কী করুণ ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থা। জনগণকে তারা প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। জনগণের সঙ্গে তাদের শত্রুতা।
তিনি বলেন, অনেককে ৯ থেকে ১০ বছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির সাবেক এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু ও ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দীশালার দুই বেঁচে যাওয়া বন্দীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে টর্চার ও ডিটেনশন সেল আয়নাঘর নামের অন্ধকার ঘরের লোমহর্ষক বিবরণ গা শিউরে ওঠে। গুমের নির্মম শিকার এই হতভাগ্যরা আপনার, আমার মতোই এই সমাজের মানুষ। এই আয়নাঘর পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতো ভয়াবহ। এই সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
