মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ১১ র্যাব সদস্যকে মাঠের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান। ওই ১১ জনের মধ্যে একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য এবং গাড়িচালকও রয়েছেন।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২২ মার্চ ওই অভিযানে যারা ছিলেন, সেই ১১ জনকে তদন্তের প্রয়োজনে র্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, ওই ঘটনা তদন্তে র্যাব সদরদপ্তর গঠিত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে। কমিটি এই অভিযানে যুক্ত প্রত্যেক র্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে। আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সকালে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হলে শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তবে স্বজনদের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার দিন জেসমিনকে সকালে অফিসে যাওয়ার পথে নওগাঁ থেকেই আটক করে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল। র্যাব দাবি করে, আটকের পরই অসুস্থ হয়ে পড়লে জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু জেসমিনকে সকালে আটক করা হলেও নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। ২৩ মার্চ বিকেলে রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতারণার মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নওগাঁর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কথা যদি বলেন, তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে বলি, সেটা হচ্ছে যে এই ভদ্রমহিলাকে যখন তুলে নেওয়া, তখন কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না।
আনিসুল হক আরও বলেন, ভদ্রমহিলার অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও ট্র্যাজেডি যে তিনি যখন মারা যান তখনও কিন্তু মামলা ছিল না। মামলা হয়েছে তারপর দিন। তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে এবং মামলায় কোনো প্রসিড করা হয়নি।”