আমরা দুই সিটি করপোরেশন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা শহরে যেসব গাড়ি চলাচল করবে তাদের রুট পারমিশন থাকতে হবে। ঢাকায় রুট পারমিট নিশ্চিতে যৌথ অভিযান চলবে। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৭তম সভা শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
দেড় হাজারের বেশি গাড়ির রুট পারমিট নাই
মেয়র আতিক বলেন, আমরা রিপোর্ট পেয়েছি ১৬৪৬টি গাড়ি রুট পারমিশন ছাড়া ঢাকায় চলাচল করে। জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিআরটিএ মিলে আমরা যৌথ অভিযান চালাবো। এই অভিযানে যাদের রুট পারমিট নেই তারা কেউ ঢাকা শহরে ঢুকতে এবং ঢাকার ওপর দিয়ে যেতেও পারবে না। অর্থাৎ রুট পারমিট ছাড়া ঢাকা শহরে কোনো গাড়ি চলতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি বাসগুলো প্রথমে রেজিস্ট্রেশন নেয়, এরপর রুট পারমিশন গ্রহণ করে। কিন্তু সেটা আর হবে না। আগে রুট পারমিট গ্রহণ করতে হবে। তারপরে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হবে। আমরা দুই সিটি করপোরেশন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা শহরে যেসব গাড়ি চলাচল করবে তাদের রুট পারমিশন থাকতে হবে।
ঘাটারচরে হবে বাস ডিপো
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঘাটারচর থেকে মতিঝিল হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। এটা আমাদের আজকের সভার মূল সিদ্ধান্ত। ঘাটারচরে একটি বাস ডিপো নির্মাণের জন্য আমরা দুই মেয়র একটি জায়গা শনাক্ত করেছি।
চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হবে
মেয়র তাপস আরও বলেন, ঢাকার বাইরে চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আপনারা জানেন ঢাকার বাইরের বাসগুলো ঢাকার ভেতর দিয়ে চলাচল করে। আমরা এটা চাচ্ছি না। ঢাকার চলাচলকারী বাসগুলোই ঢাকার ভেতরে থাকবে। বাইরের বাসগুলো ঢাকা শহরের বাইরে থাকবে। এজন্য চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং ডিপো নির্মাণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ঢাকা সড়ক পরিবহনের সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।