মার্চ ২৫, ২০২৩, ১১:৫৭ এএম
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আহবান জানান। হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন যৌথভাবে ওই বৈঠকের আয়োজন করে।
২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল উল্লেখ করে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের কোনো স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১ এর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পায়, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।”
স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় ড. একে আব্দুল মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার অগ্রগতির অভাব দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী পিটার সিজার্তো, ফিলিপাইনের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো-লয়জাগা ও জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজে।
এসময় জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ এবং বেসরকারি অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।