বর্তমান ক্ষমতাসীন নিশিরাতের সরকারের বিদায়ের ক্ষণ গণনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী্। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ক্ষন গননা চলছে নিশিরাতের সরকারের বিদায়ের। আওয়ামী দু:শাসনের ভয়ংকর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীর আসন্ন দুর্বার আন্দোলনের আশংকায় সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার এই মূহুর্তে পদত্যাগ না করলে মিটিং-মিছিল-স্লোগান প্রতিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, “গুম-অপহরণ- দুঃশাসন চালিয়ে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। সেদিন বেশী দূরে নয় যে দিন গুম-খুন অপহরণের শিকার পরিবারগুলোর শোকার্তরা কাফনের কাপড় পরে স্বজনদের খোঁজে গনভবনের দিকে রওনা দিবে।”
রিজভী বলেন,দেশের প্রতিটি শোকার্ত মানুষের ধারনা প্রতিটি গুমের হুকুমের প্রধান আসামী বসে আছেন গনভবনে। গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ গণতন্ত্র হত্যার বিচার এদেশেই হবে। কারণ এদের জন্য মানবতা ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে পরেছে।
তিনি বলেন, “সমালোচনা ও চাপের মুখে গতকাল মঙ্গলবার দেখলাম পুলিশ সদর দফতর থেকে আবারো বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে কাঁথা বালিশ চাদর কেনার ইস্যু নিয়ে পুলিশ প্রধানকে ঘিরে যা কিছু বলা হচ্ছে সবই বানোয়াট বিভ্রান্তিকর। জার্মানি বিছানার চাদর উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কোনো দেশ নয়, তারা ভারী শিল্পের দেশ। সঙ্গত কারণে আইজিপির চাদর, বালিশের কাভার ক্রয়ের জন্য জার্মানি গমনের কোনো অবকাশ নেই।”
৭ ফেব্রুয়ারি সুনিশ্চিত ভঙ্গিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে কাথা বালিশ ফ্যাক্টরী পরিদর্শনের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা-কি ভুল ছিল প্রশ্ন রেখে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “ এটা কি এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে ? আইজিপির নাম কি ভুলে দেয়া হয়েছে ? নাকি তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা ছিল ? বড় প্রশ্নটি হচ্ছে রাস্ট্র- সরকারের অভ্যন্তরে হচ্ছেটা কি? সরকারের নাটাই কার হাতে?”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, “ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।