বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মন্ত্রী হিসেবে পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারজি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী হয়ে দেশের নির্বাচন নিয়ে ভিনদেশে গিয়ে এরকম বক্তব্য দিতে পারেন না। আমাদের দেশের ভোট, নির্বাচন অন্যরা কবে দেবে এটি হতে পারে না। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
তবে এই রিটটি প্রচারের জন্য করা হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এটা কোনো আর্গুমেন্ট হতে পারে না।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের জন্য রিজয়েনডার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য দেননি। পত্রিকায় ভুলভাবে এসেছে।’
তখন আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তার বক্তব্যের স্বপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন।