অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৮:৩০ এএম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে সবশেষ প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে রাখা হয়নি ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’। দ্রুতই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তবে এ নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সভাপতি। এতে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়।
লিগ্যাল নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (আইন শাখা) অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে (আইন বাজেট ও প্রশিক্ষণ) বিবাদী করা হয়।
‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সভাপতি অহিদুল ইসলামের পক্ষে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী আনিচুর রহমান বলেন, ‘কোটা প্রথা বাতিল করেছে সরকার। তারপরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য কোটা রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মতো নিম্নশ্রেণির পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হচ্ছে। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে স্পষ্ট অবমূল্যায়ন।’