অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৮:৪২ এএম
সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। আসছে রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুক্রবার বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, গত কয়েকমাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। একাধিকবার বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানোও হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে।” তবে আলোচনার বিষয়বস্তু ও দুই দেশের কতজন করে সদস্য আলোচায় অংশ নেবেন তা জানাননি বিজিবি’র এই অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্টে শুরু হয় হয় সীমান্তে উত্তেজনা। ২৮ আগস্ট মিয়ানমারে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে পড়ে। পরবর্তীতে ৩ সেপ্টেম্বর, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া আরও দুটি মর্টার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে পড়ে। একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ে আতঙ্ক। গত ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। যা দু’দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে। তবে এরপর থেকে আর শোনা যায়নি গোলাগুলির শব্দ। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বারবার মর্টার শেল আসার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।