অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় এক শিক্ষকের ব্যক্তিগত নথি তলবের অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।এ ধরনের কাজকে ‘নিয়মবর্হিভূত’ দাবি করে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান।
তাঁর অভিযোগ, বাবার নামসহ ব্যক্তিগত তথ্য জানতে বিভাগে গেছেন প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, বাড়িতে পুলিশও পাঠানো হয়েছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ থেকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরের অপসারণ দাবির পর প্রতিহিংসার জেরে এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন ড. তানজিমউদ্দিন খান।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ড. তানজিমউদ্দিন খান ফেসবুকে লেখেন, ১৭ অক্টোবর উপাচার্যকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন সাড়ে ১২টা-১টা নাগাদ। বিকেলে প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী বিভাগের অফিসে গিয়ে ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশী করে! আমার স্থায়ী ঠিকানাসহ সব তথ্য নিয়ে যায়! আমার যাবতীয় তথ্য প্রশাসনের কাছে আছে!
তিনি লিখেছেন, সেই তথ্য যোগাড় করতে বিভাগে কেন কর্মচারী গেল ব্যক্তিগত ফাইলের জন্য? তথ্য দরকার হলে রেজিষ্ট্রার ভবনই যথেষ্ট! কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর শিক্ষকের ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশী করতে দুজন কর্মচারীকে বিভাগের অফিসে পাঠিয়েছে? তাকে এ এখতিয়ার কে দিলো?
বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় এসআই গিয়ে জানান যে, উনি ভেরিফিকেশনের জন্য গেছেন। ওখান থেকে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। সেই জন্য গেছেন! আবার জানালেন, বস বলতে পারবেন আসল কারণটা কী? সবকিছু মিলিয়ে নিশ্চিত, প্রক্টর তার আত্মমর্যাদাহীন ‘মহাকাণ্ডটি’র সাথে আছেন।