বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবারকে একটি খুনী পরিবার বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।খুনি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে রক্তপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছিল বলেও তিনি মন্তব্য করনে।
রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরবিহন প্রতমিন্ত্রী বলনে,ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান বাংলাদেশে খুন, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজনীতি কায়েম করেছিল। এই জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাংলাদেশের মানুষ একটি খুনী পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের কাছে আমরা ঋণী মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলনে, আমরা শপথ করতে চাই এই খুনিরা যাতে বাংলাদেশে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। তারা যেন বাংলাদেশর রাজনীতি ও জনপদকে কলঙ্কিত করতে না পারে।’
২১ আগস্টের খুনীরাও শাস্তির আওতায় আসবে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদেরকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। খুনিরা এক সময় মনে করেছিল, বাংলাদেশে তাদের বিচার হবে না। ২১ আগস্টের জঘন্যতম ঘটনা ঘটানোর শাস্তিও খুনিদের পেতে হবে। বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না, এমন আইন পাশ করা হয়েছিল। সেই কারণে দীর্ঘ দিন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যায়নি। ৯৬ সালে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত ক্ষমতায় এসে সংসদে এই আইন বাতিল করে বিচারের পথ প্রশস্ত করেছিলেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ আগষ্ট আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে অন্ধকারে পতিত হয়েছিল, সেই অন্ধকার থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
মোংলা বন্দরের আয়োজনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা নাসেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও এতিম খানার ১২০ জন দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, কাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, পরিচালক প্রশাসন মো. শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: বাবুল শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস।