ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের মরণাস্ত্রের ব্যবহার খুব দ্রুত বন্ধ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের দেশের গরুর খামারিরা যথেষ্ট উন্নতি করেছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ গত বছরে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে গরু দেওয়া হবে না।উত্তরে বলেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ।
সীমান্তে মরণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে। শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে।’
‘সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোটায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরও তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, বর্ডার সার্কুলেন্স সিস্টেম আমরা উন্নত করেছি। শুধু তাই নয় মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরও সমৃদ্ধ করেছি।’ আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এমনও কিছু বাড়ি আছে সীমান্তের খুব কাছাকাছি। অনেক সময় দেখা যায় সীমান্ত এলাকায় ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মীক সম্পর্ক এবং সব সময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।