ভিসা জালিয়াতি চক্র গ্রেপ্তারের পর যা বললো ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ১১:৫৭ পিএম

ভিসা জালিয়াতি চক্র গ্রেপ্তারের পর যা বললো ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস

ঢাকায় একটি ভিসা জালিয়াত চক্র গ্রেপ্তার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এ বিষয়ে সতর্কতামূলক বিবৃতি দিয়েছে। এছাড়া আমেরিকার ভিসা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় একটি চক্রের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, যারা মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের কাছে প্রতারণামূলকভাবে পাসপোর্টে অ্যান্ট্রি এবং এক্সিট স্ট্যাম্প বিক্রি করেছিল। মার্কিন ভিসা আবেদনকারীরা ভিসা আবেদনপত্রে যে তথ্য দেয়, সাক্ষাৎকারে তারা যে নথি দেয়, তার দায়ভার আবেদনকারীদের।

মার্কিন ভিসা আবেদনকারীরা ভিসা আবেদনে যে তথ্য দেন এবং সাক্ষাৎকারে তারা যেসব ডকুমেন্ট দিয়ে থাকেন তার জন্য তারা দায়ী। সম্ভাব্য ভিসা আবেদনকারীর জন্য নির্দেশনা হলো মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করা। যেকোনও সহায়ক ডকুমেন্টের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকা এবং ভিসা প্রক্রিয়া ও সাক্ষাৎকারের সময় সঠিক এবং সত্য বাস্তবসম্মত উত্তর দেওয়া।

ভিসার জন্য আবেদন করতে ব্রোকার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। আবেদনকারীদের অনলাইনে তাদের নিজস্ব আবেদন সম্পন্ন করতে সবসময় উৎসাহিত করা হয়। একটি আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। যারা আবেদনকারী তাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, মিথ্যা তথ্য এবং ভুল ডকুমেন্ট উপস্থাপনের ফলে শুধু ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, এর ফলে অযোগ্য হতে পারে ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে।

এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, আমেরিকার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশের ভিসা এবং ইমিগ্রেশনের জাল সিল লাগিয়ে পাসপোর্ট ‘ভারী করে’ একটি চক্র। পরে আমেরিকান দূতাবাসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করে। যার সঙ্গে জড়িত ভিসা আবেদনকারী এবং প্রতারক চক্র; দুই পক্ষই। সিল নিয়ে সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয় দূতাবাস। গুলশান থানায় দায়ের করা হয় একটি প্রতারণার মামলা। ১৮ জানুয়ারি মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি প্রতারক চক্রের হদিস। এই চক্রটি বিদেশ গমনে ইচ্ছুক লোকজনের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে আমেরিকার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য গত ৩ বছর ধরে এ ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পলাশ চন্দ্র দাস, ওয়াহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান খান, আবু জাফর ও আরিফুর রহমান।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভিসা জালিয়াতি কিংবা ইমিগ্রেশনের সিল জালিয়াতি করে আমেরিকার ভিসা আবেদনকারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির সম্পৃক্ততা পেয়েছি। তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।

Link copied!