নভেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:৫০ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩টার দিকে যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন।মূলত আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের উন্নয়নের খবর তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াসহ আগামীর উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরবেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পুরো শহরে এখন সাজ সাজ রব। শেখ হাসিনার আগমণে উচ্ছ্বসিত দলের নেতাকর্মীরাও। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, যশোরের জনসভা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। এরই মধ্যে জনসমাবেশ স্থল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে পূর্ণ হয়ে গেছে।
আজকের জনসভায় যশোরের উপজেলা ও আশপাশের জেলা-উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন। সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই যশোর শহরে মানুষের ঢল নামতে দেখা গেছে।
যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে মাগুরার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলের নৌকা চালিয়ে এসেছেন শেখ শহর আলী।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যা। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে ৮০ সিসির মোটরসাইকেলের ওপর বাঁশ-কাঠের নৌকার ফ্রেম বসিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এরকম নৌকা বানিয়ে মাগুরা থেকে ছুটে এসেছেন বলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাউল শিল্পী শহর আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা আছে। এ কারণে এই নৌকা নিয়ে এসেছি। মানুষকে আনন্দ দেবো, নিজেও আনন্দ পাবো। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত যশোরে থাকবেন শেখ শহর আলী।’ জনসভার এলাকায় নৌকা নিয়ে ঘুরবেন এবং বাউল গান শোনাবেন বলে জানান তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকলে ৩টার দিকে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা।
এজন্য সভাটিকে স্মরণকালের বড় গণসমাবেশে পরিণত করতে প্রস্তুতি নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের বাকি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন, এমন প্রত্যাশাই এই অঞ্চলবাসীর।এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল নির্মাণ, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককীরণ, জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা।