ডিসেম্বর ৯, ২০২২, ১২:৪৬ এএম
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটির এই উদ্বেগের পেছনে বাংলাদেশের এক সাংবাদিক দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ইনানী বিচে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে এমন মন্তব্য করলেও সেই সাংবাদিকের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘লাশ পড়লে ওরা খুব খুশি হয়। কারণ, তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাওয়া যায়। ঘটনা ঢাকায় ঘটার আগেই তা ওয়াশিংটনে চলে যায়।’
মোমেন বলেন, ‘এখানে কতগুলো বেসরকারি টেলিভিশন রয়েছে। তাঁদের ওপর কোনো চাপ নেই। অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি ভিন্ন। কিছুদিন আগে কপ-২৭-এ যোগ দিতে মিশরে গিয়েছিলাম। শুনেছি ওখানে সরকারের কথা ছাড়া কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশে তেমন না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএস’র উদ্বেগের একটা কারণ হচ্ছে আমাদের সাংবাদিক, যিনি এটা উসকে দিচ্ছেন। যার হোয়াইট হাউজ ও ইউএন দুই জায়গাতেই যোগাযোগ আছে।... বাংলাদেশে কিছু হলেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন করার ফলে উনি উত্তর দেন। উত্তরটা উনি (সাংবাদিক) লিখেও দেন। অনেক সময় উনি আগে-ভাগে লিখেও দেন, টেক্সট করেন। আমি এইটা প্রশ্ন করব, আর এই দুর্ঘটনা হয়েছে। সেই কারণেই বোধ হয় ইউএসএ এত উদ্বিগ্ন হচ্ছে।’
এ সময় সাংবাদিকেরা নাম জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে সেটা খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) চায় কোনো সংঘাত না হোক, আমরাও চাই না। আমারও সর্বোচ্চ সংযম রক্ষা করি। তবে আমেরিকার রাস্তায় ও হোয়াইট হাউজের সামনে বড় জনসভার জন্য দেশটির সরকারও রাজি হবে না। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের রাস্তায় সভা করার ক্ষেত্রে তাঁরা অনুমতি দেবে না, এটাই নিয়ম।’
মোমেন বলেন, ‘পথচারীদের বাধা দিতে চাই না, বিঘ্ন ঘটাতে চাই না। তারা (বিএনপি) শক্তি প্রদর্শন করতে চান, সম্মেলন করতে চান। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই হলের ভেতরে করতে পারেন, মাঠের মধ্যেও করতে পারেন। সরকারও চায়। কারণ, বাংলাদেশের সব লোকের কথা বলার অধিকার আছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।’